টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
চট্রগ্রাম থেকে,আরিফুল হাসান
এছাড়াও জোয়ারের কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলের সড়ক ও অলিগলিতে জমেছে হাঁটু পানি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর হাজার হাজার মানুষ।শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১৭৪ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।এ ব্যাপারে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাধ তঞ্চঙ্গ্যা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন স্থানে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে।বাংলাদেশের উপর এখনো মৌসুমি বায়ু বলবৎ আছে। রাতভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে, বিভাগের অনেক স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।’তিনি বলেন, ‘সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পরবর্তীতে নিম্নচাপ/গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আজ ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূল দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে। ফলে আজ বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের বেগ আরো বাড়তে পারে।’চট্টগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া মাঝারি বর্ষণ এখনো থেমে নেই। দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, বাকলিয়া, চকবাজার, বাদুরতলা, আগ্রাবাদসহ নগরীর বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চলে পানি উঠে গেছে। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরীর আগ্রাবাদ, পাহাড়তলী, হালিশহর, পতেঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা।এসব এলাকায় জোয়ারের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিপাতে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে।মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির এই প্রবণতা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং দেশের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।